ফটিকছড়ি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। এর আয়তন ৭৭৩ বর্গ কিলো মিটার এবং এটি জেলার সবচেয়ে বড় উপজেলা। ১৯১৮ সালে এই থানার (সাবেক) সৃষ্টি হয়।
ভৌগোলিক অবস্থান
ফটিকছড়ি ২২.৩৫ ডিগ্রি হতে ২২.৫৮ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশে এবং ৯১.৩৮ ডিগ্রি হতে ৯১.৫৭ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। পূর্বে
পার্বত্য চট্টগ্রামের মানিকছড়ি, লক্ষীছড়ি এবং চট্টগ্রামের রাউজান ও
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা, পশ্চিমে মীরশ্বরাই ও সীতাকুন্ড উপজেলা, উত্তরে রামগড়
উপজেলা ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, দক্ষিনে হাটহাজারী উপজেলা।
নামকরন
ফটিক
অর্থ স্বচ্ছ আর ছড়ি অর্থ খাল। এ উপজেলার নামকরণ করা হয়েছে ফটিকছড়ি
নামক একটি ছোট্ট খালের (নদী) নামে। চট্টগ্রামবাসী ছোট ছোট খাল বা নদীকে
ছড়া বা ছড়ি বলে। যেমন- হারুয়ালছড়ি, রক্তছড়ি. পটিয়ালছড়ি, শোভনছড়ি
ইত্যাদি। পশ্চিমে সীতাকুন্ডু পাহাড় থেকে উৎপন্ন ছোট ছোট ছড়া হেরলী,
ডলুবন্যা, নাকোঁয়া, পিনপিন্যা, লইক্ষ্যা তথা ইক্ষা প্রভৃতির মিলিত স্রো্ত
ধারার নাম- ফটিকছড়ি। ইহা পশ্চিমের রিজার্ভ ফরেষ্ট ও হারুয়ালছড়ির উপর দিয়ে
এঁকে বেঁকে পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়ে পাইন্দং ইউনিয়নের যোগিনী ঘাটায় এসে
হালদা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। একসময় ফটিকছড়ি উপজেলার অবস্থান ছিল ভুজপুরের
দক্ষিণ প্রান্তে প্রবাহিত এই ফটিকছড়ি খালটির তীরে। ওই খালের পাড়ে পুর্ব ও
পশ্চিম ফটিকছড়ি গ্রাম দুটো এখনো স্বনামেই আছে। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে
দৌলতপুরের প্রখ্যাত ব্যাবসায়ী আবদুল বারী চৌধুরীর প্রচেষ্টায় উক্ত অবস্থান
থেকে ফটিকছড়ি ধুরুং ইউনিয়নের বিবিরহাট নামক স্থানে বর্তমান অবস্থানে
স্থানান্তরিত হয়। এতে অবশ্য নামের কোন পরিবর্তন হয়নি। নদীর নামে নাম,
ফটিকছড়ি উপজেলার নামটি অবিকল থেকে যায়।
ফটিকছড়ির মানচিত্র
0 comments:
Post a Comment