ফটিকছড়ির থানা সদরের বাঁশঘাটা, রাজঘাটা, আজিম
চৌধুরীঘাট ও লেলাং খালের উপর কোটি কোটি টাকার ব্যয়ে নির্মিত পাকা
ব্রীজগুলোর আশপাশের থেকে বালি উত্তোলনের কারণে ব্রীজগুলোর ধসে যাওয়ার
আশঙ্কা ও আশপাশের বসতি ঘর-বাড়ি খালের ভাঙ্গনে ধসে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগে প্রকাশ, উল্লেখিত ব্রীজগুলোর আশপাশের থেকে বালি উত্তোলনের কারণে ব্রীজগুলোর আশপাশের সড়কগুলো ভেঙ্গে গর্তে যাতায়াত বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি এলাকাবাসীর পক্ষে সালাউদ্দিন ও নুরুল আলম সাবেক †g¤^vi গং লিখিতভাবে এক ¯^viKwjwc বালিবন্ধের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফটিকছড়ি ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফটিকছড়ির বরাবরে পেশ করেছে। বালি
পাচারকারীদেরকে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিষেধ
করলেও বালি পাচারকারীরা রাত দিন ট্রাকভর্তি বালি বিভিন্ন স্থানে পাচার করা
হচ্ছে। ব্রীজগুলোর
আশপাশের থেকে বালি উত্তোলন না করে অন্য স্থান থেকে বালি উত্তোলনের জন্য
আদেশ দিলেও বালি পাচারকারীরা প্রশাসনের আদেশ-নির্দেশ মানছে না বলে
এলাকাবাসীর অভিযোগ। সরজমিনে গেলে প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীরা আরও জানান, রাজঘাট, বাশঁঘাট ও ধুরুং স্লুইচগেট পর্যন্ত উভয় কূলবর্তী বাসিন্দাদের বসতিবাড়ি ভেঙ্গে ধসে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া আজিম চৌধুরীঘাট ও লেলাং খালের ব্রীজের আশপাশের থেকে একই নিয়মে বালি উত্তলনের ফলে ব্রীজগুলো অচিরেই ধসে ভেঙ্গে যাবে। যার ফলে বিভিন্ন ইউনিয়নের হাজার হাজার এলাকাবাসী উপজেলা থানা সদরের সাথে যাতায়াত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে মারাত্নক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। উপরোক্ত বিষয়ে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জনা খান মজলিশ এর কাছে জানতে চাইলে, তিনি জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সহকারী কমিশনার ভূমিসহ আলোচনা করেছি এবং জেলা প্রশাসককে জানানো হবে। যেহেতু জেলা পরিষদের থেকে বালি পাচারকারীরা বালি উত্তোলনের ইজারা নিয়েছেন। এই ব্যাপারে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।